হিলি প্রতিনিধি :
ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। ফলে পেঁয়াজ মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল থেকে কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। আর ভারতীয় আমদানি পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি।
তবে ৪০ টাকায় কিছু পেঁয়াজ বন্দরের মোকামে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। আর এই এই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
সরকার ৮০ দিন পর পেঁয়াজ আমদানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যা আজও (মঙ্গলবার) ভারত থেকে আমদানি হবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করা হবে। এরপর থেকে দাম অনেক কমে আসবে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দামও অনেক কমবে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার ৪০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
অপর আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টনের এলসি করেছেন। যা রোববার থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে আমদানি হচ্ছে এই খবরে দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। দুই-এক খুচরা ব্যবসায়ী ভারতীয় আমদানি করা পেয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছে। বাজারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ভারতীয় পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে আসবে। কাল থেকে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। এই অবস্থায় ভোক্তাদের মধ্যে দামে স্বস্তি মিলেছে।
সরকার দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি বন্ধ রাখে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।