Dhaka সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার গাজনার বিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আব্দুল ওহাব সাবেক পৌর মেয়রও ছিলেন, গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলার পলাতক আসামি তিনি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, আব্দুল ওহাব গাজনার বিলে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর আব্দুল ওহাব নিজেই পুলিশে যোগাযোগ করেন এবং পরে গাজনার বিল এলাকায় ফজর নামাজের পর আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি, আব্দুল ওহাবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা করে এবং তাকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় পুলিশের ৮ সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার গাজনার বিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আব্দুল ওহাব সাবেক পৌর মেয়রও ছিলেন, গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলার পলাতক আসামি তিনি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, আব্দুল ওহাব গাজনার বিলে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর আব্দুল ওহাব নিজেই পুলিশে যোগাযোগ করেন এবং পরে গাজনার বিল এলাকায় ফজর নামাজের পর আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি, আব্দুল ওহাবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা করে এবং তাকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় পুলিশের ৮ সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।