পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে ১০ মিনিটের কালবৈশাখীতে কয়েকশ বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় গাছচাপায় রুবি নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখীতে এমন ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রেজওয়ান। এ ঘটনায় সকাল ১০টা থেকে সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
নিহত রুবি বেগম (২২) রানীপুর মরিচাল এলাকার মিরাজ সরদারের স্ত্রী। রুবি বেগমের আট মাসের মেয়ে মেহেজাবিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পিরোজপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।
রুবি বেগমের স্বামী মিরাজ সরদার বলেন, হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমার পরিবার এ দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে আমার স্ত্রী মারা যায় এবং আমার আট মাসের শিশুকন্যা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পিরোজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সিকদার বলেন, হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হতে থাকে। এর পরপরই আমরা বিভিন্ন স্থানে ক্ষতির খবর শুনতে পাই। পালপাড়া, খোমোরিয়া, রানীপুর, মরিচাল, শঙ্করপাশা এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় ঘরের ওপরে গাছ পড়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। আমরা দ্রুত এসে পালপাড়া এলাকাসহ আশপাশের এলাকার চাপা পড়া ঘর ও লোকজনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করি। এখনো কাজ চলমান আছে।’
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রেজওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঝড়ের মধ্যেই আমরা এসে পিরোজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করি। পালপাড়া এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে সব বাড়িগুলোতে পড়া গাছ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে। আমাদের এ উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তিন-চারজন আহত আছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থালগুলোতে গিয়েছে এবং এখনো কাজ করছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।