Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সেকেন্দার শাহ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আট জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই রায় দেন। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচারা গ্রামের ইউসুফ আলী শাহের ছেলে জিয়া শাহ ও মজিবর শাহ, মৃত গেদু শাহের ছেলে শাহজাহান শাহ, মৃত তফু শাহের ছেলে আতু শাহ, পরশ উল্লা শাহের ছেলে সেন্টু শাহ ও মৃত গফুর শাহের ছেলে ইয়ারুল শাহ। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী সিকেন্দার শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিন্নাত শাহ ১৬ জনের নামোল্লেখ করে পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কাজী সাইদুর রহমান। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

পাবনায় হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সেকেন্দার শাহ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আট জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই রায় দেন। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচারা গ্রামের ইউসুফ আলী শাহের ছেলে জিয়া শাহ ও মজিবর শাহ, মৃত গেদু শাহের ছেলে শাহজাহান শাহ, মৃত তফু শাহের ছেলে আতু শাহ, পরশ উল্লা শাহের ছেলে সেন্টু শাহ ও মৃত গফুর শাহের ছেলে ইয়ারুল শাহ। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী সিকেন্দার শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিন্নাত শাহ ১৬ জনের নামোল্লেখ করে পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কাজী সাইদুর রহমান। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।