পদ্মার ঢেউয়ের তোড়ে বিলীন হয়েছে শিমুলিয়া ফেরিঘাট। ফেরিঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ আশপাশের এলাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বড় ফেরি আর চলাচল করতে পারছে না। ছোট ফেরিতে চলছে যানবাহন পারাপার।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ৪নং ফেরিঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ বেশকিছু এলাকা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ঘাটে অপেক্ষমান গাড়ির সংখ্যাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ৪নং ফেরিঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ওই নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে চলছে স্পিডবোট ও ফেরি।
জানা গেছে, সকাল ৭টা থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরিসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচলা বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। পরে ১ ও ২নং ঘাট দিয়ে ৪টি ছোট ফেরি চালু রেখে সীমিত পরিসরে যানবাহন পারাপার অব্যাহত রেখেছে। তবে এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমিত আকারে চলাচল করছে স্পিডবোট।
আরও পড়ুন : নতুন ফেরিঘাট নির্মাণ করা হবে শিমুলিয়ায়
এছাড়া অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, রাত আড়াইটার দিকে ভাঙন শুরু হয়। এরমধ্যেই ৪নং ভিওআইপি ফেরিঘাটসহ অ্যাপ্রোচ সড়ক ও ঘাটের কয়েকশ ফিট জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন প্রায় ২নং ফেরিঘাটের কাছাকাছি পর্যন্ত চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য সকাল ৭টায় সর্বশেষ ফেরি কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর এই রুটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে আবার ৪টি ছোট ফেরি দিয়ে ১ ও ২নং ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু করা হয়।