শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন

পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আক্রমণের সময় ‘ব্যর্থতার’ জন্য দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হার্জি হালেভি পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হালেভি আগামী ৬ মার্চ পদত্যাগ করবেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর সময় ঘটে যাওয়া বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে তিনি এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর প্রকাশিত পদত্যাগপত্রে হালেভি বলেন, ৭ অক্টোবর (সেনাবাহিনীর) ব্যর্থতার জন্য নিজের দায় স্বীকার করে তিনি বিদায় নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ‘‘উল্লেখযোগ্য সাফল্যের’’ সময়ে তিনি পদত্যাগ করছেন। তবে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হালেভি।

পদত্যাগকৃত ইসরায়েলি এই সেনাপ্রধান বলেছেন, যুদ্ধের সব উদ্দেশ্য এখনও অর্জিত হয়নি। হামাস ও এর শাসন করার সক্ষমতাকে আরও ধ্বংস, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে লড়াই চালিয়ে যাবে সেনাবাহিনী। আর এর মধ্য দিয়ে হামাসের হামলায় বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিরা ফিরে আসতে সক্ষম হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে, গাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যানও পদত্যাগ করেছেন। হামাসের সঙ্গে বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের কিব্বুৎজে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালান গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলে প্রবেশের পর প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২১০ জনকে হত্যা করেন তারা। পরে সেখান ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গাজায় বন্দি রাখেন হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গত ১৫ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন শুরুর পরপরই বাস্ত্যচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া