বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

পটুয়াখালী হাসপাতালে যাওয়ার ভাঙাচোড়া সড়ক যেন মরণফাঁদ!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
পটুয়াখালী হাসপাতালে যাওয়ার ভাঙাচোড়া সড়ক যেন মরণফাঁদ!
CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v80), quality = 75

সড়কের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। শুধু তাই নয়, ভাঙাচোড়া সড়কের কারণে রোগীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সড়কটি ভেঙে পুরনো লোহার রড বেরিয়ে আসায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের যাতায়াতের সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগী ও চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মীরা।

 

স্থানীয়রা জানান, আরসিসি নির্মিত হাসপাতালের দক্ষিণ দিকের সড়কটির একদম বেহাল অবস্থা। আর এই সড়কটিই হাসপাতালে যাতায়াতের মূল সড়ক হিসেবে বিবেচিত। সড়কটি ভেঙে পুরনো লোহার রড বেরিয়ে আসায় এতে চলাচলকারী পরিবহন যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। হাসপাতালের সেবা প্রত্যাশী রোগীদের পাশাপাশি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চালকরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে হাসপাতালের উত্তর দিকে সড়কের কাজ চলছে, যার জন্য বাঁশ বেঁধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারী মালামাল বহন, টানা বৃষ্টি এবং সংস্কারের অভাবে সড়কটি মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভাকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই সংস্কার কাজে হাত দেবে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : বেহাল হালুয়াঘাট ধারা বাজার-বাবুর বাজার সড়ক

জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার উদ্যোগে মেরামত হয় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের দক্ষিণ পাশের সড়কটি। এরপর এই সড়কটিতে আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-সম্প্রচার কেন্দ্র কার্যালয়সহ একাধিক দাফতরিক কার্যালয়ে যাতায়াতে সড়কটি ব্যবহার হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সুবিধার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের অন্যান্য যানবাহনও এই সড়কটি ব্যবহার করে।

সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে চায়ের দোকানি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন দোকানদারি রেখে প্রতিদিন গাড়ি ঠেলতে হয়। রাতে রোগী নিয়ে ইজিবাইক পড়ে গেছে পানির মধ্যে। আমি আরও লোকজন গিয়া উঠাইছি। এরআগের দিন চারটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. হানিফ আকন, মো. শামিম খাঁন ও মো. আরিফুর রহমানসহ একাধিক চালক বলেন, নানা সুবিধার কারণে হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটটি ব্যবহার হয়। তবে এখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, লোক হাঁটার মতো কোনও কায়দা নেই ওই সড়কে। লোহার রড বের হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক সংস্কারের বিষয়ে পৌর মেয়র মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে মেরামত করা হয়েছিলো। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারী মালামাল বহন করা গাড়ি চলাচলে সড়কটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে উন্নয়ন কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া