টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কোনো চাপ নেই। বরং আমরাই বিভিন্নস্থানে চাপ প্রয়োগ করছি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। আমাদের এ ধরনের চাপ দেওয়ার রাইট নেই। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের জন্য উল্টো কমিশন সংশ্লিষ্টদের চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তাই এ বিষয়ে নিরীক্ষার সুযোগ আছে। আমরা যা কিছু করি না কেন তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এখনো সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি পরে সিদ্ধান্ত হয় তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলেও ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে কাজ করবে।
পর্যবেক্ষকের বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আসছে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৮২ জন পর্যবেক্ষক ও ৪৬ জন সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদন করেছেন। নির্বাচনে একটি নীতিমালা আছে। সে নীতিমালা সব সাংবাদিককে অনুসরণ করতে হবে।
ইউএনও এবং ওসিদের বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল।
তিনি বলেন, এখন আর বিএনপির নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় তাহলে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তাই এই বিষয়ে নীরিক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনে এখনো সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যদি পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হয় তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৮২ জন পর্যবেক্ষক ও ৪৬ জন সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য আবেদন করেছেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।