Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে মাদকসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ আটক ২

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠকসহ দুইজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা ও চাকু উদ্ধার করা হয়।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল চক্রের সদস্য ইকবাল হোসেন। তাদের কাছ থেকে ৪ পিস ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে মো. জিদান নামের এক যুবক হাসপাতালের স্টাফদের প্রায় সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এর পাশাপাশি সে হাসপাতালের ভেতরে ইয়াবা সেবনসহ বিক্রিও করতো। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাসপাতালের ভেতর থেকে জিদান ও তার সহযোগী দালাল ইকবালকে আটক করা হয়।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি থেকে জিদানকে বহিষ্কার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নীরব রায়হান বলেন, আটক মো. জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। এই ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না।

বহিষ্কৃত জিদানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিদানের সঙ্গে হাসপাতালের দালালদের লিংক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া সে হাসপাতালের স্টাফদের নানাভাবে বিরক্ত করতো। এরূপ নানা তথ্যের ভিত্তিতে আমি তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু সে বরাবরের মতো অস্বীকার করে গেছে। আর ওই সব অভিযোগের কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে ছিল না। তবে এবার তার আটকের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এম এ বাশার বলেন, আটকদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ও অপরজন হাসপাতালের কোন এক স্টাফের আত্মীয়। তবে তারা কেউ হাসপাতালের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। তারা কেন হাসপাতালে এসেছিল তা জানা নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের কেউ কোনও অভিযোগ আমার কাছে দেয়নি।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল ইকবালকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪ পিস ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে : ফারুক-ই-আজম

নারায়ণগঞ্জে মাদকসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ আটক ২

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠকসহ দুইজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা ও চাকু উদ্ধার করা হয়।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল চক্রের সদস্য ইকবাল হোসেন। তাদের কাছ থেকে ৪ পিস ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে মো. জিদান নামের এক যুবক হাসপাতালের স্টাফদের প্রায় সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এর পাশাপাশি সে হাসপাতালের ভেতরে ইয়াবা সেবনসহ বিক্রিও করতো। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাসপাতালের ভেতর থেকে জিদান ও তার সহযোগী দালাল ইকবালকে আটক করা হয়।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি থেকে জিদানকে বহিষ্কার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নীরব রায়হান বলেন, আটক মো. জিদান জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। এই ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না।

বহিষ্কৃত জিদানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিদানের সঙ্গে হাসপাতালের দালালদের লিংক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া সে হাসপাতালের স্টাফদের নানাভাবে বিরক্ত করতো। এরূপ নানা তথ্যের ভিত্তিতে আমি তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু সে বরাবরের মতো অস্বীকার করে গেছে। আর ওই সব অভিযোগের কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে ছিল না। তবে এবার তার আটকের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এম এ বাশার বলেন, আটকদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ও অপরজন হাসপাতালের কোন এক স্টাফের আত্মীয়। তবে তারা কেউ হাসপাতালের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। তারা কেন হাসপাতালে এসেছিল তা জানা নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের কেউ কোনও অভিযোগ আমার কাছে দেয়নি।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সংগঠক মো. জিদান ও হাসপাতালের দালাল ইকবালকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৪ পিস ইয়াবা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।