নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবারের হালনাগাদে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ জন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখের কিছু বেশি। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটার বাদ পড়েছেন ১৫ লাখ ২৩ হাজার। শতকরা হিসাবে ১.৭৭ শতাংশ। মোট বৃদ্ধির ৩.৯ শতাংশের মধ্যে বাদ পড়াদের বৃদ্ধির হার ২.৪৪ শতাংশ ও নতুন ভোটার বৃদ্ধির হার শতকরা ১.৪৬ ভাগ।
ইসি সচিব বলেন, সোমবার (৩ পর্যন্ত) বাদ পড়া ভোটার বাড়ানোর হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অতীতে যারা ভোটার হতে পারেনি তাদের হার এটা। আর নতুন যারা ভোটার হবেন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি তাদের হার হলো ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট বাড়ানোর হার সেই হিসাবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১৫ লাখ ২৩ হাজার। আগামী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই ডাটা পরিবর্তন হবে। গতবারের চেয়ে এখনো পর্যন্ত কম। কেন কম তা নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। এখনো মাঠ থেকে ফিডব্যাক কম। আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পারলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেকের বাড়িতে গিয়েছেন, না পাওয়ায় ফোন নম্বর দিয়ে গেছেন। তবে যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার হতে পারবেন সরাসরি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে। এছাড়া অনলাইনে এরপরেও তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। যারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন, জানার চেষ্টা করবো কেন যাননি। তাহলে সেই ক্রটি পূরণের চেষ্টা করবো। নারী ভোটারের সংখ্যা এবার বেড়েছে। বাদ পড়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ, নারী ১৬ লাখ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, চলমান হালনাগাদ কর্মসূচিতে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও যুক্ত করা হবে তালিকায়। নিবন্ধন চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এছাড়া অনলাইন আর আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগ্যরা নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে কোনো তথ্য সংগ্রহকারী কোনো বাড়িতে না গেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৭ বছরের কেউ ভোটার হয়েছে কি না এমন তথ্য নেই ইসির কাছে। তবে নির্দিষ্ট করে কেউ জানালে কমিশন বিষয়টি দেখবে।