আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। জবানবন্দিতে তিনি সেই রাতের পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয়) আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলার এজলাসে জবানবন্দি দেন তিনি।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টার থেকে আদালতে নিয়ে যান। পরে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
এদিকে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা নামক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন : ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : সাইফুরের পর অর্জুন গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কলেজে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। পরে তারা স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে, তবে এর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।