Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশকে আন্তর্জাতিক খেলার মাঠ বানিয়েছে আওয়ামী লীগ: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা দেশকে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মাঠ বানিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বার্বভৌমত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার সময়ে কোনও দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও টু শব্দ করতে পারতো না। গোপন ষড়যন্ত্র তো সবসময় থাকে। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশের সেই মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অন্য দেশ কথা বলতে পারছে।

শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) ঢাকা জেলা শাখা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ শেখ হাসিনা সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেননি বলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেন, এজন্য তো তিনিই দায়ী। তিনি দিনের ভোট রাতে করেন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন। তিনি ভোট চুরি নয়, ভোট ছিনতাই করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। জনগণ তো এখন ভোট দিতে যায় না। আর শেখ হাসিনার বশংবদ নির্বাচন কমিশন বলে যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। আসলে জনগণ এটা বিশ্বাস করে না। কারণ তারা বলে চাকরি রক্ষার জন্য। চুরি করা জিনিস উদ্ধার করা যায়। কিন্তু ভোট তো আত্মসাৎ করে গণভবনে বন্দি রেখেছেন। এখন শেখ হাসিনার সরকারকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, উনি কারও কাছে মাথানত করবেন না, কাউকে পাত্তা দেন না, সেন্টমার্টিন দেন নাই বলে ক্ষমতায় না থাকার সংশয় প্রকাশ করেছেন। কেন আজকে এসব কথা হবে? তাহলে আমেরিকার সহযোগিতার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছেন কেন?

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে উন্নয়নের ইন্দ্রজাল তৈরি করেছে সরকার। তাদের লোকজনই বিদেশে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এত টাকা পাচার হয় কীভাবে? অনেকেই বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতি হলে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই ধরা পড়ে যাবে যে এই সারে ১০ হাজার কোটি টাকা কারা সরিয়ে ফেললেন। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে থেকে জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন তাদের বিচার এই দেশেই হবে।

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা নাকি মাথানত করেন না। তাহলে আমেরিকার সহযোগিতার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছেন কেন? আসলে উনি তলে তলে ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রাখার চেষ্টা করেন। মনে রাখতে হবে সবাই কিন্তু ঘুষ খান না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছেন। বিদেশে তাঁর উন্নত চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। তিনি মূমুর্ষূ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ সময় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সহসভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, বর্তমান সেক্রেটারি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, গোলাম মাওলা শাহিন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ আটক সকল নেতাকর্মীর দ্রুত মুক্তি দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।

সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এইচএম আমিনুর রহমান আমিনের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, তাঁতী দলের খন্দকার হেলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক তামিম ইয়াহিয়া আহমদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশকে আন্তর্জাতিক খেলার মাঠ বানিয়েছে আওয়ামী লীগ: রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:৫২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা দেশকে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মাঠ বানিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বার্বভৌমত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার সময়ে কোনও দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও টু শব্দ করতে পারতো না। গোপন ষড়যন্ত্র তো সবসময় থাকে। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশের সেই মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অন্য দেশ কথা বলতে পারছে।

শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) ঢাকা জেলা শাখা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ শেখ হাসিনা সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেননি বলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেন, এজন্য তো তিনিই দায়ী। তিনি দিনের ভোট রাতে করেন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন। তিনি ভোট চুরি নয়, ভোট ছিনতাই করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। জনগণ তো এখন ভোট দিতে যায় না। আর শেখ হাসিনার বশংবদ নির্বাচন কমিশন বলে যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। আসলে জনগণ এটা বিশ্বাস করে না। কারণ তারা বলে চাকরি রক্ষার জন্য। চুরি করা জিনিস উদ্ধার করা যায়। কিন্তু ভোট তো আত্মসাৎ করে গণভবনে বন্দি রেখেছেন। এখন শেখ হাসিনার সরকারকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, উনি কারও কাছে মাথানত করবেন না, কাউকে পাত্তা দেন না, সেন্টমার্টিন দেন নাই বলে ক্ষমতায় না থাকার সংশয় প্রকাশ করেছেন। কেন আজকে এসব কথা হবে? তাহলে আমেরিকার সহযোগিতার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছেন কেন?

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে উন্নয়নের ইন্দ্রজাল তৈরি করেছে সরকার। তাদের লোকজনই বিদেশে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এত টাকা পাচার হয় কীভাবে? অনেকেই বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতি হলে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই ধরা পড়ে যাবে যে এই সারে ১০ হাজার কোটি টাকা কারা সরিয়ে ফেললেন। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে থেকে জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন তাদের বিচার এই দেশেই হবে।

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা নাকি মাথানত করেন না। তাহলে আমেরিকার সহযোগিতার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছেন কেন? আসলে উনি তলে তলে ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রাখার চেষ্টা করেন। মনে রাখতে হবে সবাই কিন্তু ঘুষ খান না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছেন। বিদেশে তাঁর উন্নত চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। তিনি মূমুর্ষূ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ সময় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সহসভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, বর্তমান সেক্রেটারি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, গোলাম মাওলা শাহিন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ আটক সকল নেতাকর্মীর দ্রুত মুক্তি দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।

সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এইচএম আমিনুর রহমান আমিনের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, তাঁতী দলের খন্দকার হেলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক তামিম ইয়াহিয়া আহমদ প্রমুখ।