নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকার চারলেন প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন অংশের কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ চলছে। আগামী ঈদেই ঘরমুখো মানুষ চারলেন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজে ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় বিরামহীন কাজ করছেন নির্মাণশ্রমিকরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চারলেনসহ দুপাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেন রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান। আর এই রাস্তার সুফল ভোগ করছে উত্তরবঙ্গসহ মোট ২৩ জেলার মানুষ।
কিন্তু নানা জটিলতার কারণে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিমি রাস্তাটি এখনও চারলেনে উন্নিত হয়নি। ফলে ৭০ কিমি এলাকার সুফল মিললেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের। প্রতিনিয়োতই সড়ক দুর্ঘটনা আর যানজটের কবলে পড়তে হয় চালক যাত্রীদের। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকা চারলেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট লিয়াকত আলী জানান, গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনের স্বাভাবিক গতি থাকে। তবে এলেঙ্গা আসার পরই গাড়ির তুলনায় রাস্তা ছোট হওয়ায় গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট হয়। দ্বিতীয় ফেইজে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত চারলেনের কাজ শেষ হলে আর যানজট হবে না। দুর্ঘটনাও অমে যাবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক রবিউল আওয়াল জানান, সময়মতো কাজ শুরু করা না হলেও দ্রুতগতিতে দ্বিতীয় ফেইজে চারলেন প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই মাটি ভরাটসহ ব্রিজ কালভার্টের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। ঈদের আগেই অনেক কাজ হয়ে যাবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ সুফল পাবেন।
চারলেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজে ১৩.৬ কিমি রাস্তায় ১০টি কালভার্ট ৮টি ব্রিজ, একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ৩.৩ শতাংশ কাজ হয়েছে।