নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদর থেকে কার্পাসডাঙ্গামুখী সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
সরেজমিন ওই সড়কে দেখা যায়, পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আতিয়ারের সারের দোকানের মাঝ বরাবর স্থানে কালভার্টের কাছে সড়ক ধসে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলকারীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে চুয়াডাঙ্গা ও রঘুনাথপুর হয়ে দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা ও মেহেরপুরের মুজিবনগর চলাচল করে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কের এক প্রান্ত থেকে কোনো যানবাহন ওই ধসে পড়া স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য যানবাহনের চালককে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাথাভাঙ্গা নদীর কোলঘেঁষে সড়কটি নির্মাণ করা হলেও এটা টিকিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সে কারণেই সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।
পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের সার ব্যবসায়ী আতিয়ার বলেন, সড়কটির ধসে যাওয়া স্থানে একটি কালভার্ট থাকলেও সেটি অকেজো। ফলে সেখান দিয়ে পানি বের হয় না। পানি বের না হওয়ার কারণে সড়কটি ধসে পড়েছে। নদীর কোলঘেঁষে এ সড়ক তৈরি হলেও এটা টিকিয়ে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সড়কটি ক্রমেই ভেঙেই যাচ্ছে। এ সড়কের ব্যাপারটি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েও কাজ হয়নি। প্রবল বৃষ্টি হলে সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। সে কারণে পরিকল্পিতভাবে সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন।
হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির উদ্দীন বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। বেশকিছু দিন আগে সড়কের কালভার্টের অংশ ধসে পড়েছে। কালভার্টের মুখ উঁচু থাকায় সেখান দিয়ে পানি বের হয় না। পানি বের না হওয়ার কারণে সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। কিছুদিন ওই অংশে মাটির কাজ করানো হয় এবং পানি বের করার জন্য ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ছোট আকৃতির ড্রেন তৈরি করা হয়েছিল যা বর্তমানে অকেজো। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভেঙে নদীতে চলে যায়। মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দামুড়হুদা উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, সড়কটির প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারে মধ্যে বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়া স্থানে আপাত মাটি ভরাট করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া সড়কটি সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলে সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হবে।