বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন

তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
আপডেট : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আগ্রহী। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তুরস্কের আঙ্কারা মিশনের বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। তবে আমাদের সম্পর্কের শুরু ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কি জেনারেল ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়ের মধ্য দিয়ে। পারস্পরিক আস্থার ইতিহাস, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেননি। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সংঘাতমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নও দেখেছেন। মানবকল্যাণে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে গেছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য তুর্কি জনগণ ও দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও তুর্কি ফার্স্টলেডিকে তিনি ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব ধরনের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। আমি মনে করি, প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন : ঘানিটানা সেই ছয়ফুলকে গরু ও টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আমন্ত্রণে আঙ্কারা সফরের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা সংবলিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের প্রশংসা করেন।

চলমান করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্ব এক কঠিন সময় পার করছে। এই মহামারি বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে স্থবির করে দিয়েছে। বাংলাদেশে আমরা সফলতার সঙ্গে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পেরেছি। আমাদের সময়োপযোগী এবং সঠিক পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়ার মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কিছুটা মোকাবিলা করতে পেরেছি।

প্রাণঘাতী করোনা মোকাবিলায় সফলতার জন্য তুর্কি নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে ভবনটি নির্মাণে দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা কম ব্যয় হয়েছে। ওই টাকা বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া