ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আটক এবং পরে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হলেও চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে তাকে আটক করার তথ্য জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। রাতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ছেড়ে দেয়ার তথ্য দেয়া হয়।
পরে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে তাকে আবার গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তবে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডিবি কার্যালয়ে নুরের মুচলেকা নেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার প্রতিবাদে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে গেলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়।
এসময় মিছিলকারীরা সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেখানে নুরুল হক নুরসহ আন্দোলনকারী সাত জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : গাড়িচালক হলেও শত কোটি টাকার মালিক তিনি
আটকের বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নুরের নেতৃত্বে একটি মিছিল শাহবাগে এসে বিশৃঙ্খলা ও পুলিশের ওপর হামলা চেষ্টা করে।
সেখান থেকে নুরসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর লালবাগ থানায় নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল হক নুর দাবি করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে।