আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার ব্যক্তিগত ট্রেনে করে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের শহর ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছেছেন। বুলেটপ্রুফ ট্রেনে করে তিনি রাশিয়া গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটিতে প্রবেশ করেন। খবর বিবিসির।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ কিম ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছার কথা নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে পুতিন ও কিম কিছু ‘স্পর্শ কাতর’ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন পেসকভ। তবে ভ্লাদিভোস্টক শহরের কোনো স্থানে দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হবেন এবং তারা কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তা নিয়ে কিছু বলেননি পেসকভ।
পেসকভ বলেন, পুতিন-কিমের একান্ত বৈঠকের বাহিরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও আলাদা বৈঠক হবে। কিমের সম্মানে একটি বিশেষ ভোজের আয়োজন করবেন পুতিন। তবে বৈঠক শেষে তাদের সংবাদ সম্মেলন করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
জাপানের সংবাদমাধম জেএনএন রুশ সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কিম জং উন রাশিয়ার সীমান্ত স্টেশন খাসানে পৌঁছেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিমর্স্কি ক্রাই অঞ্চলের স্টেশনে কিমের জন্য একটি স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ভ্লাদিভোস্টকে মঙ্গলবার রাশিয়ার ইস্টার্ণ ইকোনমিক ফোরামের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছেছেন পুতিন। এই সম্মেলনে কিমও যোগ দেবেন।
এদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক আসন্ন দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের পরিস্থিতি নিয়ে হবে।
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা ১৮ মাস পার করছে। যুদ্ধে বিপুল গোলা-বারুদ নিঃশেষ হওয়ায় রাশিয়া বন্ধু দেশগুলো থেকে অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলে মনে করেন পশ্চিমা বিশেজ্ঞরা। বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে খাদ্য সহায়তা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পারে।
উত্তর কোরিয়া রাশিায়াকে গোলা-বারুদ সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
মস্কো বারবার বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার প্রতিটা পদক্ষেপ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পেসকভ বলেন, রাশিয়ার তার অন্য প্রতিবেশীর মতো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও সব ধরনের সম্পর্ক বাড়াতে চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে ওয়াশিংটনের হুমকি নয়, দুই দেশের সম্পর্কই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালেও ট্রেনে ভ্লাদিভোস্টক ভ্রমণ করেছিলেন কিম। পুরো ট্রেনটি বুলেটপ্রুফ। অনেক ভারী হওয়ায় ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের বেগে বেশি চলতে পারে না।