Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেলিযোগাযোগ-বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থিংক ট্যাংক লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান (৬৩) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

তার ছেলে তৌফিক মাহমুদ ডন বলেন, আব্বু আর নেই। আজ সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তিনি চলে গেছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে সিএমএইচ মসজিদে আবু সাঈদ খানের জানাজা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

২০১০-১২ মেয়াদে দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) প্রথম মহাসচিব ছিলেন আবু সাঈদ খান। তার আগে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় এরিকসনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রধান কার্যালয়ে স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিস্ট ছিলেন।

আবু সাঈদ খান এক সময় টেলিকম খাত বিষয়ে সাংবাদিকতাও করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেছেন টেকনোলজি এডিটর হিসেবে। সে সময় টেলিকম খাতে সরকারি কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে তিনি যেমন প্রতিবেদন করেছেন, তেমনি টেলিকম নীতি নিয়েও লিখেছেন।

ইএমসি ওয়ার্ল্ড সেল্যুলার ডাটাবেইজের রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন আবু সাঈদ খান। সে সময় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের মোবাইল বাজার নিয়ে তিনি কাজ করেন।

২০০২ সালে বাংলাদেশ যেন প্রথম সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়, সেজন্য সরব ভূমিকা ছিল আবু সাঈদ খানের।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন, বিশ্ব ব্যাংক, এরিকসন, হুয়াওয়ে, এডিএন গ্রুপের হয়েও কাজ করেছেন তিনি।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

টেলিযোগাযোগ-বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থিংক ট্যাংক লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান (৬৩) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

তার ছেলে তৌফিক মাহমুদ ডন বলেন, আব্বু আর নেই। আজ সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তিনি চলে গেছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে সিএমএইচ মসজিদে আবু সাঈদ খানের জানাজা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

২০১০-১২ মেয়াদে দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) প্রথম মহাসচিব ছিলেন আবু সাঈদ খান। তার আগে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় এরিকসনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রধান কার্যালয়ে স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিস্ট ছিলেন।

আবু সাঈদ খান এক সময় টেলিকম খাত বিষয়ে সাংবাদিকতাও করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেছেন টেকনোলজি এডিটর হিসেবে। সে সময় টেলিকম খাতে সরকারি কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে তিনি যেমন প্রতিবেদন করেছেন, তেমনি টেলিকম নীতি নিয়েও লিখেছেন।

ইএমসি ওয়ার্ল্ড সেল্যুলার ডাটাবেইজের রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন আবু সাঈদ খান। সে সময় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের মোবাইল বাজার নিয়ে তিনি কাজ করেন।

২০০২ সালে বাংলাদেশ যেন প্রথম সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়, সেজন্য সরব ভূমিকা ছিল আবু সাঈদ খানের।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন, বিশ্ব ব্যাংক, এরিকসন, হুয়াওয়ে, এডিএন গ্রুপের হয়েও কাজ করেছেন তিনি।