জাপান সরকারের সহায়তায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট-বড় ২১টি সেতু নির্মাণ ও পুনর্নিমাণ করা হবে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা।
সেতুগুলো নির্মিত হবে ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে এরই মধ্যে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলায় ৬১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরো ২১টি সেতু।
বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
রাজধানীর বনানীতে প্রকল্প অফিসে অনুষ্ঠিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
মন্ত্রী দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল রুট-৬ জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এছাড়া জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর। চট্টগ্রাম থেকে দেশের পর্যটন তীর্থ কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে জাপানের অর্থায়ন এরই মধ্যে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে করোনায় আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
প্রসঙ্গত, জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি ৬১টি সেতু নির্মাণে ইতোপূর্বে গ্রহণ করা হয় ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট।
এরই মধ্যে এ প্রকল্পের ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং ৩৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে চলেছে। নতুন করে ২১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ভ্রমণ সময় কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা