জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :
স্বামীর বাড়ি থেকে মায়ের সঙ্গে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন বাবলি রানী। এজন্য জয়পুরহাটে রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। হঠাৎ প্রসব বেদনা ওঠে বাবলির। কোনো উপায় না পেয়ে তারা সহযোগিতা চান আশপাশের লোকজনের। পরে পুলিশ ও এক নারীর সহযোগিতায় স্টেশনেই ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা-মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। মা-মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছেন।
বাবলি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বেলতলী বাবু পাড়া গ্রামের সুকুমার চন্দ্রের স্ত্রী। তিনি একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে দিনাজপুরের বিরামপুর আমবাড়িতে তার বাবার বাড়ি যাবার জন্য জয়পুরহাট প্ল্যাটফরমে অপেক্ষারত ছিলেন।
বাবলি রানী বলেন, আমি প্রথমবার মা হলাম। আসলে বুঝতেই পারিনি আমার সন্তান প্রসবের সময় হয়েছে। বাবার বাড়িতে সন্তান জন্ম দিতে মা ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে দিনাজপুরে যাচ্ছিলাম। প্রসব বেদনা ওঠায় পুলিশ ও স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে এক নারীর সহযোগিতায় আমার নিরাপদ প্রসব হয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই তাদের বিপদে সহযোগিতা করার জন্য।
নাসিমা আক্তার নামে এক নারী বলেন, আমি বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করি। জয়পুরহাটে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। আজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি, পাশে বসা এক নারী প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন। তাকে সহযোগিতা করি। এরপর তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অনেক ভালো লেগেছে ভালো কাজটি করতে পেরে।
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি অফিস শেষ করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলেন। হঠাৎ খবর পান যে এক নারী প্রসব বেদনায় স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সহযোগিতায় এক নারীকে সহযোগিতার জন্য পাঠানো হয়। তারা সন্তান প্রসবের জন্য প্রসূতিকে সব ধরনের সহযোগিতা করেন। এতে নিরাপদে সন্তান প্রসব হয়। এই আনন্দ মুহুর্ত আরো আনন্দ করতে স্টেশনের প্ল্যাটফরমের যাত্রীদের মিষ্টি খাওয়ানো হয়।