নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি এয়ারলাইন্সেরই বর্তমানে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ তিনটি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকারও বেশি।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করে বেবিচক।
গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর কাছে বেবিচক কত টাকা পায়, তা জানতে চেয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয় বেবিচক।
বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভোএয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে মোট ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার ৯২৬ টাকা পাওনা আছে। গত মে পর্যন্ত হিসাবে ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। বাংলাদেশে বর্তমানে ইউএস–বাংলা, এয়ার এস্ট্রা ও নভো এয়ার নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংসদীয় কমিটিতে বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা আছে ৪০৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি। জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা ৩৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক পাবে ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি। আর নভো এয়ারের কাছে পাওনা আছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মতো।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন- কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ।