বর্ষা মৌসুম ও ঈদকে কেন্দ্র করে চলনবিলে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নেমেছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসছেন এখানে। সোমবার চলনবিলে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদের তৃতীয় দিনেও শত শত মানুষ করোনার ভয়কে উপেক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মেতে উঠেছে আনন্দ বিনোদনে। কেউ করছেন নৌকা ভ্রমণ, স্পিড বোর্ডে উঠে কেউবা আবার করছেন আনন্দ উল্লাস। কেউবা আবার প্রিয়জনদের নিয়ে করছেন কেনাকাটা, গল্পগুজবে মেতে উঠেছেন।
একদিকে করোনাভাইরাস অপরদিকে বন্যার পানি নিমজ্জিত চলনবিলের পথঘাট বিভিন্ন এলাকা। তারমাঝেও একটু বিনোদনের স্বাদ পেতে ছুটে চলেছেন চলনবিলের পাদদেশে ভ্রমণপিপাসুরা।
বর্ষা মৌসুম ও ঈদকে কেন্দ্র করে চলনবিলে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামে। ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসছেন এখানে।
চলনবিলের মধ্যে দিয়ে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৮নং, ৯নং ও ১০নং ব্রিজ এলাকা ও কুন্দইলের ব্রিজ, ভাঙ্গুড়ার পাটুল, নৌবাড়িয়া, চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া ব্রিজ ও গুরুদাসপুরের বিলসা মা জননী ব্রিজ এলাকায় হাজারো লোকের সমাগমে ফুটে উঠেছে বিলের বাড়তি সৌর্ন্দয্য।
আরও পড়ুন : ভূতের বসবাস যে হোটেলে
বর্ষাকালে বিলের ভেতরের গ্রামগুলো দেখতে দ্বীপের মতো মনে হয়। ডুবন্ত সড়কে হেঁটে বেড়ানোসহ বিলের পানিতে সাঁতার কাটা ও নৌকা ভ্রমণ করে সময় কাটান দর্শনার্থীরা। তারা মিনি কক্সবাজারের আমেজ উপভোগ করেন চলনবিলে।
চলনবিলে ঘুরতে আসা তানিয়া ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক তো রয়েছেই। তারপরে একটু বিনোদনের জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলনবিলে ঘুরতে আসা। পানিতে একাকার চলনবিল। দেখতে অপরূপ লাগে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আগামীতে চলনবিল অঞ্চলে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।