বর্তমানের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা পপি বলেন, শিল্পীরা একটি বিষয়ই চায়। সেটা হলো সম্মান। কিন্তু সমিতির সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে তাদেরকে হয়রানি, অপমান করা হচ্ছে। অনেক সিনিয়র শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে।
শিল্পীর কাছ থেকে যদি তার পরিচয় কেড়ে নেয়া হয় তার আর কি থাকে! শিল্পীরাই তাকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে, আর তিনি শিল্পীদেরকেই দিনের পর দিন অপমান করে যাচ্ছেন। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে এবং এর এর সমাধান কি? পপি উত্তরে বলেন, লক্ষ্য করলে দেখবেন, একজন মানুষের বিপক্ষে এতগুলো মানুষের অবস্থান চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, এরকম আমাদের ফিল্মে কখনও ঘটেনি। মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজপথে নেমেছে, আন্দোলন করেছে। ১৮ টি সংগঠন তাকে বয়কট করেছে। মানুষ এতদিন আত্মসম্মানের ভয়ে চুপ ছিলো। আমি দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্রে অতিবাহিত করেছি। সব সময় চলচ্চিত্রে সবার সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো।
শিল্পীদের মধ্যে এই দ্বন্দ আগে কখনও দেখিনি। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ। চলচ্চিত্রের শিল্পীরা কাজ চায়, ত্রাণ নয়। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কোনো কাজ করা হচ্ছে না। বরংচ যারা তাকে ভোট দিয়ে সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন, তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে দিনের পর দিন। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের অবস্থা এমনিতেই সুখকর না এখন। আমাদের সবার কাজে মনোযোগী হতে হবে। রাজনীতি বাদ দিয়ে কাজের মাধ্যমে অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ থেকে অশ্লীল মেসেজে হাইকমিশনে অভিযোগ শ্রাবন্তীর
এদিকে ১০ই সেপ্টেম্বর জন্মদিন ছিলো পপির। তবে ঘটা করে এটি উদযাপন না করলেও ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভেসেছেন সারাদিন। চ্যানেল আই তারকা কথন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এদিন। এ সময় পপিকে চমকে দিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নতুন ছবি উপহার হিসেবে দেয়া হয় তাকে। পপি বলেন, এটা আমার জন্য সত্যিই সারপ্রাইজ ছিলো। নতুন এ ছবির নাম ‘ভালোবাসার অগ্নীকন্যা’। আমার বিশ্বাস খুব ভালো কিছু হতে চলেছে।
চিত্রনায়িকা পপি বলেন, শিল্পীরা কখনও দুস্থ হতে পারে না। তাদের দুস্থ বলার অধিকার দেয়া হয়নি কাউকে। সুতরাং যারা শিল্পীদের খাদ্য কিংবা অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করে সেলফি তুলছেন এবং সেটা ফেসবুকে প্রকাশ করছেন তার মাধ্যমে শিল্পীদের অপমান করা হচ্ছে।
আমাদের অনেক সিনিয়র ও সমসাময়িক শিল্পীরাও মানুষকে সহযোগীতা করেন। কিন্তু সেটা দেখানোর জন্য প্রচারণা করেন না। তাছাড়া এফডিসিতে শিল্পীদের বার বার অপমান করা হচ্ছে। সিনিয়র অনেক শিল্পীর সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন সময় হয়েছে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।