ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা মুনমুন ও তার স্বামী মডেল, অভিনেতা ও প্রযোজক মোশাররফের ঠিকানায় বিচ্ছেদ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এবার এ নায়িকা জানালেন বিচ্ছেদের কারণ।
মুনমুন বলেন, লকডাউনে আমার হাতের টাকা শেষ হয়ে যায়। দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার আমাকেই চালাতে হতো। অনেক দিন ধরেই মোশাররফকে বলছিলাম সিনেমা বানানোর জন্য টাকা খরচ না করে ব্যবসা শুরু করার। কিন্তু সে শোনেনি। সংসারের খরচও দিচ্ছিলো না।
উপায় না দেখে স্টেজ ও যাত্রায় নাচ শুরু করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হলো আর হবে না। এ কারণেই বিচ্ছেদে যেতে হলো বাধ্য হয়ে। মুনমুন আরো বলেন, তার ‘পাগল প্রেমিক’ ছবিটি নিয়েই আমাদের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
আরও পড়ুন : সাদেক বাচ্চুকে নিয়ে যা বললেন শাকিব খান
অনেক টাকা বিনিয়োগ করেও সে ছবিটি নিয়ে এগোতে পারছিল না। তাকে বলেছিলাম, ছবির চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যবসায় মনোযোগ দিতে। কিন্তু সে শোনেনি। তখন আমার কাছে মনে হল আমি আর পরলাম না।
মুনমুনের অভিযোগ, স্বামী হিসেবে সে পরিবারকে সময় দিতো না। পরিবারের খরচও দিতো না। সংসার চালাতে মুনমুনকে স্টেজ ও যাত্রায় নাচতে হতো। এদিকে ঈদের দুদিন আগে মুনমুনের ভাইয়ের কাছ থেকে বিচ্ছেদের চিঠি পান মোশাররফ হোসেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে সিলেটের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে যুক্তরাজ্যে চলে যান মুনমুন। ২০০৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। দেশে ফিরে আবারও কাজে মনোযোগী হন তিনি। যাত্রায় অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় হয় মীর মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে।
২০০৯ সালে মুনমুন বিয়ে করেন মোশাররফকে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। অবশেষে ভেঙেই গেলো তাদের সংসার। সালমান ও যশ নামে তাদের দুই ছেলে আছে। তারা দুজনই মায়ের সঙ্গে থাকে।