চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মো. জালাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকার মনু মিয়া দিঘির সামনে সকাল ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জালাল আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মুন্সির ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। জালাল পেশায় মাছ ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মহিউদ্দিন বলেন, সকালে জালালসহ তিনি কালাবিবির দিঘীর আড়তে মাছ বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে মনু মিয়ার দিঘীর সামনে তারা তাদের পথের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় জালাল গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তারা জালালকে ধরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। জুঁইদন্ডী এলাকার স্থানীয় মোক্তার হোসেন, নুর হোসেন, জাকির ও বোরহানসহ আরো ১ থেকে ২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এই হত্যাকান্ড ঘটায়। যাওয়ার সময় তারা তাদের গাড়ি থেকে নামলে কুপিয়ে মারার হুমকি দেয় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জালাল ও বিবাদীদের সঙ্গে জমিজমা ও এলাকায় আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘসময় বিরোধ চলে আসিতেছিল। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত জালাল উদ্দীনের ভাই জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাছের ঘের ও মাছের ব্যবসা করি। মাস দেড়েক আগে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মো. মোকতার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলে। মোকতার ও নুর হোসেনের নেতৃত্বে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আজ ভোরে মোক্তারের নেতৃত্বে জালালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘মোক্তার ও জালালের মধ্যে পূর্বশত্রুতা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’