Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ উধাও

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে একজন গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও হয়ে গেছে।

বুধবার (২৯ মে) ঘটনাটি জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা গ্রাহক কেউই কোনো অভিযোগ করেননি।

পুলিশ জানায়, নগরীর সার্সন রোডের বেভারলি হিলস হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা রোকেয়া বারী ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকারে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলেন। বুধবার তিনি তার লকার উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পান, এবং ভেতরে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের প্রায় সবই উধাও হয়ে যায়।

বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এসব সোনার দাম এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন এসব সোনা- দাবি সোনার মালিকের।

জানা গেছে, সোনার মালিকের নাম রোকেয়া বারী। তিনি নগরের চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা। বুধবার (২৯ মে) ব্যাংকে গেলে সোনা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন রোকেয়া বারী। এরপর তিনি চকবাজার থানায় জিডি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও এখন পর্যন্ত জিডি নেয়নি চকবাজার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

চুরি হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের চারটি জড়োয়া সেট, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট। ২৮ ভরি ওজনের সাতটি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের চারটি আংটি এবং ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি।

রোকেয়ার ছেলে ড রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক জানান, আমার মা ২০০৭ সাল থেকে এই লকারে তার স্বর্ণালঙ্কার রেখে আসছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টায় তিনি লকার দেখতে ব্যাংকে যান। লকারের আসল চাবি আমার মায়ের কাছে ছিল, আর নকল চাবি ছিল লকার ইনচার্জের কাছে। লকার রুমে ঢোকার পর তারা সেটি খোলা দেখতে পান, এবং আমার মা তাৎক্ষনিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন।

মারজুক আরও জানান, আমরা সাথে সাথে পুলিসকে বিষয়টি জানাই এবং চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লকার রুম পরিদর্শন করেন। আমরা বুধবার রাতেভ জিডি করতে থানায় গেলে ওসি আমাদেরকে মামলা করতে বলেন। আমরা আমাদের পারিবারিক আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং সোমবার (৩ জুন) আমরা আদালতে অভিযোগ করবো। ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদেরকে সাতদিনের ভেতর ঘটনার কারণ উদঘাটনের আশ্বাস দিয়েছেন।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর জানান, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভুক্তভোগী থানায় জিডি করতে এলে আমরা তাদেরকে ঘটনার গুরুত্বের কারণে মামলা করতে বলেছি।

ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল মাওলার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ উধাও

প্রকাশের সময় : ০১:২৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে একজন গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও হয়ে গেছে।

বুধবার (২৯ মে) ঘটনাটি জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা গ্রাহক কেউই কোনো অভিযোগ করেননি।

পুলিশ জানায়, নগরীর সার্সন রোডের বেভারলি হিলস হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা রোকেয়া বারী ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকারে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলেন। বুধবার তিনি তার লকার উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পান, এবং ভেতরে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের প্রায় সবই উধাও হয়ে যায়।

বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এসব সোনার দাম এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন এসব সোনা- দাবি সোনার মালিকের।

জানা গেছে, সোনার মালিকের নাম রোকেয়া বারী। তিনি নগরের চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা। বুধবার (২৯ মে) ব্যাংকে গেলে সোনা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন রোকেয়া বারী। এরপর তিনি চকবাজার থানায় জিডি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও এখন পর্যন্ত জিডি নেয়নি চকবাজার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

চুরি হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের চারটি জড়োয়া সেট, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট। ২৮ ভরি ওজনের সাতটি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের চারটি আংটি এবং ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি।

রোকেয়ার ছেলে ড রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক জানান, আমার মা ২০০৭ সাল থেকে এই লকারে তার স্বর্ণালঙ্কার রেখে আসছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টায় তিনি লকার দেখতে ব্যাংকে যান। লকারের আসল চাবি আমার মায়ের কাছে ছিল, আর নকল চাবি ছিল লকার ইনচার্জের কাছে। লকার রুমে ঢোকার পর তারা সেটি খোলা দেখতে পান, এবং আমার মা তাৎক্ষনিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন।

মারজুক আরও জানান, আমরা সাথে সাথে পুলিসকে বিষয়টি জানাই এবং চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লকার রুম পরিদর্শন করেন। আমরা বুধবার রাতেভ জিডি করতে থানায় গেলে ওসি আমাদেরকে মামলা করতে বলেন। আমরা আমাদের পারিবারিক আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং সোমবার (৩ জুন) আমরা আদালতে অভিযোগ করবো। ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদেরকে সাতদিনের ভেতর ঘটনার কারণ উদঘাটনের আশ্বাস দিয়েছেন।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর জানান, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভুক্তভোগী থানায় জিডি করতে এলে আমরা তাদেরকে ঘটনার গুরুত্বের কারণে মামলা করতে বলেছি।

ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল মাওলার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।