পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তিনি পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে মঞ্চে উপস্থিত হন। ১টার দিকে উপস্থিত মানুষের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২ হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব ত্রাণের মধ্যে চাল ১০ কেজি, মসুর ডাল ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, সয়াবিন ১ লিটার, মরিচের গুঁড়া ১০০ গ্রাম, হলুদের গুঁড়া ২০০ গ্রাম, ধনিয়ার গুঁড়া ১০০ গ্রাম।
ত্রাণ বিতরণ শেষে কলাপাড়ার শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
বিকেল ৫টায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের হেলিপ্যাড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন—দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বরিশালের সিটি মেয়র, আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।
গেল রোববার দিবাগত রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব চালায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মধ্যরাতে ঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বেশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু বরিশাল বিভাগেই মৃত্যু হয় ১৯ জনের।
ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে যায় গাছপালা, বাড়িঘর, বেড়িবাঁধ। দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক মাছের ঘেরও তলিয়ে যায়।
রাতভর তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় রেমাল সোমবার সকালের পর আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হতে থাকে।
রাজধানীস ১০ জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানির খবর এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।