Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে : প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হবে।

শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় নেওয়া প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবিবার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এজন্য আজ রাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হবে।

চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম রয়েছে। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে যেন ঢাকা থেকে সরবরাহ করা যায় সেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সাইক্লোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে এক নম্বর সংকেত রয়েছে। আগামী এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে সংকেত বাড়বে এবং রাতেই মহাবিপৎ সংকেত দেওয়া হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এখন থেকে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। সব জেলায় আমাদের খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেখানে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম বিদ্যমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। রাত ১২টা-১টা নাগাদ এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে।

প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাত থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর ভূমিধস হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে : প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হবে।

শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় নেওয়া প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবিবার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এজন্য আজ রাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হবে।

চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম রয়েছে। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে যেন ঢাকা থেকে সরবরাহ করা যায় সেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সাইক্লোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে এক নম্বর সংকেত রয়েছে। আগামী এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে সংকেত বাড়বে এবং রাতেই মহাবিপৎ সংকেত দেওয়া হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এখন থেকে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। সব জেলায় আমাদের খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেখানে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম বিদ্যমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। রাত ১২টা-১টা নাগাদ এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে।

প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাত থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর ভূমিধস হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’