ভোলা জেলা প্রতিনিধি :
ঘন কুয়াশার মধ্যে মেঘনার মাঝ নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে সোহেল (৩৫) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেঘনা নদীর হাইমচর নামক স্থানে সুরভী-৮ ও টিপু-১৪ লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. সোহেল। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। তার দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
সুরভী-৮ লঞ্চে থাকা যাত্রী শাফায়াত আহমেদ রাজিব জানান, ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে সুরভী-৮ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মেঘনা নদীর হাইমচর নামক স্থানে আসার পর ঘন কুয়াশায় মধ্যে ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ নামে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের সঙ্গে সুরভী-৮ এর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সুরভী-৮ লঞ্চটির ডান অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী আহত হন এবং সোহেল নামে এক যাত্রী মারা যান।
দুই লঞ্চের সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবরণ দিয়ে লঞ্চের যাত্রী মোস্তাক শাহিন বলেন, ঘটনার সময় তিনিও লঞ্চে ছিলেন এবং তার সামনেই মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সুরভী-৮ লঞ্চের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে সুরভী-৮ লঞ্চের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছে। নিহত এবং আহতরা লঞ্চেই আছে।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গেলাম মোস্তফা দুই লঞ্চে সংঘর্ষে এক যাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হাইমচরের নীল কমল নৌ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে আমাদের ফোন করা হয়। একটি অজ্ঞাতনামা লঞ্চ তাদের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া জন্য তাদের ফোন করলে তারা জানায় এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তবে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নাই।
ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কাল সন্ধ্যা ৬টা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসে টিপু-১৪ লঞ্চটি। রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা ছাড়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৮। চাঁদপুরের হাইমচরে টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কায় দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়। সুরভী-৮ লঞ্চটি এবং নিহত সোহেলে মরদেহ এখন সদর ঘাটে আছে।