শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
এ আর রহমানের গানকে ‘বেকার’ বললেন সনু নিগম চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো হামাস বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি জিয়াউর রহমানকে মূলধন করে বিএনপি কখনো রাজনীতি করেনি : আমীর খসরু ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদীদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না’ ৯৯৯ কল করে আত্মসমর্পণ করলো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বান্দরবানে বন্যহাতির আক্রমণে শ্রমিকের মৃত্যু ১/১১ ভয় দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন নিতে চায় : রিজভী ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম এলএনজি রপ্তানি চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

গাদাগাদির ঈদ যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০
গাদাগাদির ঈদ যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছে মানুষ ছবি : যোগাযোগ

ঈদ যাত্রার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে বাসে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যবিধি। বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় আগেই কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাস লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সরকার বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছে না বাসের মালিক শ্রমিকরা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি বাসে দুই আসনে একজন করে যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে সরকারের এ নির্দেশনা মানছে না কোনো পরিবহন। বাসের প্রতি আসনেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে এবং সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : ভিড় বেড়েছে বাস লঞ্চ ও বিমানে

এ ছাড়া যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় গায়ে ও হাতে জীবণুনাশক স্প্রে ব্যবহার, যাত্রী নামানোর পর জীবাণুনাশক দিয়ে বাস জীবাণুমুক্ত করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। যাত্রী নামিয়েই ফের দ্রুত যাত্রী তুলে গন্তব্যে ছুটছে সব বাস।

করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাত্রা নিশ্চিত করার তাড়নায় ট্রেনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। কিন্তু রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের হুড়াহুড়ি নেই। যার হাতে টিকিট, তিনিই ট্রেনে চড়ে বসছেন। বিনা টিকিটে আর দাঁড়িয়ে ভ্রমণের জন্য যাত্রী নেই।

তাই ট্রেনে দেখা যায়নি গাদাগাদি অবস্থা। এবার সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল ও টিকিটের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কারণে মানুষের অভিযোগের মাত্রাও কমে এসেছে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, করোনা মহামারি অর্থনীতির বড় ক্ষতি করলেও ট্রেনের জন্য শাপে বর হয়ে এসেছে।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে টিকিটের কড়াকড়ি, বিনা টিকিটে ভ্রমণ বাতিল ও স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধের কারণে যাত্রী সেবায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ঈদের পর এই ধারা বিদ্যমান থাকলে ট্রেন ভ্রমণের চিত্র পাল্টে যাবে।

এদিকে, কয়েক দিন আগেও লঞ্চে যাত্রীর ভিড় ছিল না। ঈদ যাত্রার শুরু থেকেই গতকাল বৃহস্পতিবার ভিড় বেড়ে গেছে। সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে হাজির হচ্ছে।

দুপুরের পর এই ভিড় আরো বাড়তে থাকে। গাদাগাদি করে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ডেকে চেপে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এমন ভ্রমণে যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।

মাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা ছাড়া যাত্রীদের সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ ভরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ছাড়ার ব্যবস্থা করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া