Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণভবন দখল করা বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল : চিফ হুইপ

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গণভবন দখল করা বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।

সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে মাদারীপুরে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম, পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ বক্স, জেলা আওয়ামী লীগের অফিস, সার্বিক পেট্রোল পাম্প, সার্বিক বাস ডিপো পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রদের কোটা আন্দোলন আমাদের সরকারে সবারই এদিকে দৃষ্টি ছিল। পরবর্তীকালে জামায়াত-বিএনপি এটাকে অন্য রূপে নিয়ে এই নাশকতা করেছে। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল গণভবন দখল করা। গোয়েন্দা নজরদারির কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, গণভবন ও আমাদের সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, গণভবন দখল করার উদ্দেশ্যে ছিল নাশকতাকারীদের। দেশের গোয়েন্দারা সজাগ না থাকলে গণভবন দখল করতো হামলাকারীরা। এই গণভবন দখল হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো আরেকটা ভয়াবহ দিকে যেতে হতো। ২১ আগস্টের মত আরেক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতো হামলাকারীরা। গোয়েন্দা নজরদারির কারণেই গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’

মাদারীপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন নাশকতাকারীরা। প্রভাবশালী নেতারা ছক করেন, আর বাস্তবায়নের চেষ্টা চালান দুষ্কৃতিকারীরা। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে জরুরি ভিত্তিতে এর বিচার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করতে আর কেউ সাহস না পায়।’

সংসদ নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি বিএনপি-জামায়াতের নেই। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি কারই ছিল না। এজন্য বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি না থাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনার পথ বেছে নেয় বিএনপি-জামায়াত। মূলত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ক্ষোভে সারা দেশে এই আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত।

পরিদর্শনকালে নূর-ই আলম চৌধুরী সঙ্গে ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান, মাদারীপুর ও শিবচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে : ফারুক-ই-আজম

গণভবন দখল করা বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল : চিফ হুইপ

প্রকাশের সময় : ০৪:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গণভবন দখল করা বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।

সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে মাদারীপুরে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম, পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ বক্স, জেলা আওয়ামী লীগের অফিস, সার্বিক পেট্রোল পাম্প, সার্বিক বাস ডিপো পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রদের কোটা আন্দোলন আমাদের সরকারে সবারই এদিকে দৃষ্টি ছিল। পরবর্তীকালে জামায়াত-বিএনপি এটাকে অন্য রূপে নিয়ে এই নাশকতা করেছে। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল গণভবন দখল করা। গোয়েন্দা নজরদারির কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, গণভবন ও আমাদের সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, গণভবন দখল করার উদ্দেশ্যে ছিল নাশকতাকারীদের। দেশের গোয়েন্দারা সজাগ না থাকলে গণভবন দখল করতো হামলাকারীরা। এই গণভবন দখল হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো আরেকটা ভয়াবহ দিকে যেতে হতো। ২১ আগস্টের মত আরেক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতো হামলাকারীরা। গোয়েন্দা নজরদারির কারণেই গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’

মাদারীপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন নাশকতাকারীরা। প্রভাবশালী নেতারা ছক করেন, আর বাস্তবায়নের চেষ্টা চালান দুষ্কৃতিকারীরা। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে জরুরি ভিত্তিতে এর বিচার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করতে আর কেউ সাহস না পায়।’

সংসদ নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি বিএনপি-জামায়াতের নেই। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি কারই ছিল না। এজন্য বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি না থাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনার পথ বেছে নেয় বিএনপি-জামায়াত। মূলত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ক্ষোভে সারা দেশে এই আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত।

পরিদর্শনকালে নূর-ই আলম চৌধুরী সঙ্গে ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান, মাদারীপুর ও শিবচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।