খুব খারাপ সময় যাচ্ছে ‘মোজার্ট অব মাদ্রাজ’ খ্যাত এ আর রহমানের। বলিউডে কাজ পাচ্ছেন না তিনি। বিশ্ব দরবারে ভারতীয় সঙ্গীতের জন্য সম্মান বয়ে আনা অস্কারজয়ী সুরকারের এ আর রহমান যে পরিমান তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন সে তুলনায় হিন্দি ছবিতে তার উপস্থিতি নগণ্য। কেন এমন হচ্ছে?
একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি খোলাসা করেছেন এআর রহমান। রেডিও মিরচির সাপ্তাহিক টপ ২০ সেলেব স্পেশাল শোতে আরজে সুরেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলিউডে তার ব্লকবাস্টার কাজগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। স্বভাবতই উঠে এসেছে, রোজা, দিল সে, স্বদেশ, গুরু, রকস্টার, তামাশা এবং ওকে জানু-এর মতো ছবির প্রসঙ্গ।
কিন্তু তিনি কেন আরো বেশি হিন্দি ছবিতে কাজ করছেন না? রেডিও জকির এই প্রশ্নের উত্তরে এই মিউজিক আইডল বলেন, আমি ভালো মুভিকে কখনো না বলি না। কিন্তু আমার মনে হয়, বলিউডের একটা গ্যাং ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে।
এই গ্যাং আসলে কারা তাদের নাম মুখে আনেননি এআর রহমান। তবে সে প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন মুকেশ ছাবড়ার কথা। মুকেশ পরিচালিত সুশান্ত সিংহ রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’-র সুরকার এ আর রহমান। মুকেশই তাকে জানিয়েছেন তার ব্যাপারে বলিউডের কিছু লোকের নেতিবাচক মনোভাবের কথা।
এ ব্যাপারে এ আর রহমান বলেন, মুকেশ ছাবড়া যখন আমার কাছে আসেন, আমি দুই দিনে তাকে চারটা গান তৈরি করে দিয়েছি। তিনি আমাকে বলেছেন, স্যার, কতো লোক যে আমাকে বলেছে তার কাছে যেও না, তার (এআর রহমান) কাছে যেও না। তারা আমাকে বুঝানোর জন্য নানা গল্পও বলেছে।
এ আর রহমান বলেন, আমি শুনে বুঝলাম, আচ্ছা! তাহলে এখন আমি বুঝতে পারছি কেন আমি হিন্দি ছবিতে কম কাজ করছি এবং কেন ভালো ছবি আমার কাছে আসছে না।
আমি আসলে এখন ডার্ক মুভি করছি। কারণ গোটা একটা গ্যাং আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা কারা আমি জানি না কিন্তু তারা ক্ষতি করছে।
তবে গোটা ইন্ডাস্ট্রির দিকে আঙুল তুলতে নারাজ রহমান। তিনি বলেন, অনেকেই চান তিনি কাজ করুন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মহল তার বিরুদ্ধে গুজব রটাচ্ছে। তার সুরের দরজা সবার জন্যই খোলা। যারা ভালো ছবি বানাতে চান, তাদের সবাইকে স্বাগত।
আর যাই হোক, এআর রহমানে কথায় স্পষ্ট বলিউডে মাফিয়া তন্ত্র, স্বজনপোষণ তন্ত্র মারাত্মকভাবেই জেঁকে বসেছে। এ নিয়ে টুইটও করেছেন এই মাফিয়া তন্ত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বলিউড অভিনেত্রী কঙ্কনা রানৌত।
তিনি এ আর রহমানের ওই সাক্ষাৎকারের একটি খবর শেয়ার করে টুইট করেছেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবারই হয়রানি এবং বুলিংয়ের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে যখন কেউ স্বাধীনভাবে সম্পূর্ণ নিজের মতো কাজ করতে চান তাকে আরো বেশি এসব অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া