কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের আলী আকবরী এলাকার নাহার ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সিএনজি চালক কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে কালু মিয়া কালাম (৪২)। নিহত আরেকজন একই উপজেলার রামদী ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের মৃত ইনসাফ উদ্দিনের মো. হেলাল উদ্দিন (৪৯)। নিহত হেলাল মিয়া চট্টগ্রামে জুতার ব্যবসা করতেন।

আহত মো. রুবেল মিয়া (৫০) কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর বেলায় আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জগামী সিএনজি ও ভৈরবগামী একটি মাইক্রো মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সিএনজি চালক ও যাত্রীসহ দুইজনকে ঘটনাস্থলেই নিহত দেখতে পায়। আহত আরেকজনকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মাইক্রো গাড়ির কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।

তারা বলেন, ‘এ ঘটনায় সিএনজি ও মাইক্রো গাড়ি দুটি একেবারেই দুমড়েমুচড়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।’

নিহত হেলাল মিয়ার বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, ‘নিহত হেলাল আমার ছোট ভাই। সে চট্টগ্রামে জুতার ব্যবসা করতো। চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির কাছে এসে সিএনজি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি মারা গেছেন।’

নিহত কালু মিয়ার ফুপাতো ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সিএনজি চালক আমার ফুপাতো ভাই। সে ভৈরব থেকে যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার পথিমধ্যে মাইক্রোর সাথে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।’

এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আমিরুল বাহার বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সংগ্রহ করা হয়েছে এবং রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক এসআই বাবুল মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাইক্রো গাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। সিএনজি ও মাইক্রো গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলোকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

এ ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিনে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জ্হোরা।