Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরী অনশন করছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে

অনশনরত কিশোরী

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়েরপাড় এলাকায় বিয়ের দাবিতে এক কিশোরী অনশন করছেন। কিশোরী যে বাড়িতে অনশন করছেন সেই বাড়ির মালিক আনন্দ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। গত দুই দিন ধরে ওই কনস্টেবলের বাড়িতে অনশন করছেন ১৫ বছরের ওই কিশোরী।

কনস্টেবল আনন্দ একই এলাকার অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে। পুলিশ কনস্টেবল আনন্দের কর্মস্থল লালমনিরহাটে।

ওই কিশোরীর অভিযোগ, ৪ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে ৩ লাখ টাকা যৌতুকে বিয়ের আলোচনাও হয়। কিন্তু মাঝখানে দুজনের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আনন্দ অন্যত্র ১২ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের আলাপ চূড়ান্ত করেছে।

তাই আমি রোববার (১৫ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে আনন্দের বাসায় এসেছি। আনন্দ এর আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার পিসতোতো বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়।

আরও পড়ুন : চুয়াডাঙ্গায় দিনে দুপুরে অস্ত্রের মুখে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি

আবার গত ২২ আগস্টও বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তালতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি আবারো বিয়ের কথা বললে নানা টালবাহানা করে।

এরপর থেকে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকুও শেষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দেব বলে আনন্দের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় ওই কিশোরী।

এদিকে সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে আনন্দের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিক শুনেই ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে।

রাজারহাট থানার ওসি মো. রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ের আশীর্বাদ হয়ে আছে। মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চলছে।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

কিশোরী অনশন করছেন এক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়েরপাড় এলাকায় বিয়ের দাবিতে এক কিশোরী অনশন করছেন। কিশোরী যে বাড়িতে অনশন করছেন সেই বাড়ির মালিক আনন্দ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। গত দুই দিন ধরে ওই কনস্টেবলের বাড়িতে অনশন করছেন ১৫ বছরের ওই কিশোরী।

কনস্টেবল আনন্দ একই এলাকার অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে। পুলিশ কনস্টেবল আনন্দের কর্মস্থল লালমনিরহাটে।

ওই কিশোরীর অভিযোগ, ৪ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে ৩ লাখ টাকা যৌতুকে বিয়ের আলোচনাও হয়। কিন্তু মাঝখানে দুজনের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আনন্দ অন্যত্র ১২ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের আলাপ চূড়ান্ত করেছে।

তাই আমি রোববার (১৫ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে আনন্দের বাসায় এসেছি। আনন্দ এর আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার পিসতোতো বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়।

আরও পড়ুন : চুয়াডাঙ্গায় দিনে দুপুরে অস্ত্রের মুখে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি

আবার গত ২২ আগস্টও বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তালতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি আবারো বিয়ের কথা বললে নানা টালবাহানা করে।

এরপর থেকে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকুও শেষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দেব বলে আনন্দের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় ওই কিশোরী।

এদিকে সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে আনন্দের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিক শুনেই ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে।

রাজারহাট থানার ওসি মো. রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ের আশীর্বাদ হয়ে আছে। মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চলছে।