এ সময়ের আলোচিত ডা.সাবরিনা আছেন কাশিমপুর কারাগারে। সেখানে আগে থেকেই আছেন যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী পাপিয়াও। কারাগারেই কেটেছে তাদের ঈদ।
করোনাভাইরাসের সময়কালে দেশে যে কয়জন মানুষ সর্বচ্চো আলোচনায় এসেছেন ডা. সাবরিনা তাদের মধ্য অন্যতম। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় আলোচনায় আসেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের এই চিকিৎসকের। গত ১২ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি আছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে। সেখানেই ঈদ কেটেছে ডা. সাবরিনার।
কাশিমপুর কারাগারে আছেন একাধিক অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে তাকে। মহিলা কারাগারে পরিবার-পরিজন ছেড়ে কারাবন্দিদের সঙ্গে ঈদ করেছেন তিনিও।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পাপিয়াকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বিশেষ সেলে এবং সাবরিনাকে আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ধরা ছোঁয়ার বাইরে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজরা
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে পাপুলের স্ত্রী ও শ্যালিকা যা বললেন
সাহেদকে নেয়া হলো গ্রেপ্তার স্পটে
এ ছাড়া কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রয়েছেন আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম, ফার্মার্স ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।
কারা কর্মকর্তারা জানান, কারাবন্দিদের জন্য ঈদের দিন সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে সাদা ভাত, ডিম ও আলুর দম ও রাতে পোলাও মাংস, ডিম, মিস্টি, দই, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস ও পান সুপারিসহ বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার কারাবন্দিরা যার যার ওয়ার্ডে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর জেলার উম্মে সালমা জানান, এই কারাগারে একহাজার ৩৩৫ জন বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৭ জন ফাঁসির ও ১৭৪ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।