স্পোর্টস ডেস্ক :
কামরান গুলামের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে পুঁজিটা বড়ই পায় পাকিস্তান। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে দলটি। তাতে শেষ পর্যন্ত সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরাই। অথচ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে চমকে দিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। পরের দুটি ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৩ রান করে দলটি। জবাবে ৪০.১ ওভারে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সাইম আইয়ুবের ঘূর্ণিতে স্কোরবোর্ড দুই অঙ্ক ছুঁতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। দলীয় পঞ্চাশের আগে হারায় আরও একটি। এরপর শন উইলিয়ামসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ৪১ রানের জুটিও গড়েন তারা। উইলিয়ামস ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ।
জুটি ভাঙার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরভিন। ব্যক্তিগত ফিফটি করার পর আমের জামালের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা তাকে অনুসরণ করেন এরপরই। তাতে বড় চাপেই পরে যায় স্বাগতিক দলটি।
দলীয় ১৩০ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর এক প্রান্তে ঝড় তুলে আগানোর চেষ্টা চালান ব্রায়ান বেনেট। এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে দুইশ পার করতে পারে জিম্বাবুয়ে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন আরভিন। ৬৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৩৭ রান আসে বেনেটের ব্যাট থেকে। এছাড়া উইলিয়ামস ও মারুমানি ২৪ রান করে করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়ে সাইম, আবরার, রউফ ও জামাল।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে পাকিস্তান। ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিক। এরপর সাইম ফিরে গেলে কামরানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন শফিক। ৫৪ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে বিদায় নেন শফিক।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর কামরানের সঙ্গে হাল ধরেন অধিনায়ক রিজওয়ান। ৮৯ রানের দারুণ এক জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন এই দুই ব্যাটার। এরপর সালমান আলী আগা ও তায়াব তাহিররা সেই ভিতে ইমারত গড়েন। শেষ পর্যন্ত তিন শতাধিক রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে দলটি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন কামরান। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৯৯ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। শফিক খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। ৬৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া রিজওয়ান ৩৭, সাইম ৩১, সালমান ৩০ ও তাহির ২৯ রানের ইনিংস খেলেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট পান সিকান্দার রাজা ও রিচার্ড এনগারাভা।