শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪
কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কাদের মির্জা বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কাদের মির্জা। এরআগে কাদের মির্জার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

সাধারণ ডায়েরিতে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন যে, আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা গত কয়েকদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাশ্ববর্তী দাগনভূইঞা, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরকে ভাড়া করে এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নানাবিধ কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসকল কৃতকর্মের ফলে কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন, মো. আইয়ুব আলী, সালেকিন রিমন, জাহেদুল হক কচি, আবদুর রেজ্জাককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আতংকের মধ্যে রেখে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে কাদের মির্জা আরও উল্লেখ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি প্রদান করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, একটি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল আসে। ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললে ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয়, আমাকে হত্যা করা হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন হুমকি দেয়। এরপর আমি আর কোনো কথা না বলে সংযোগ কেটে দেই। বিষয়টি থানাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কে বা কারা করেছে তা তদন্ত বের করা হোক। আমার কোনো অনুসারী এমন কাজ করার কথা না। তারপরও আমি এমন হুমকির ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা অভিযুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া