শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন

করোনায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
করোনায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে চলতি বছরের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। শিগগিরি এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের আভাস পাওয়া গেছে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট ( জেডিসি) পরীক্ষা হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উভয় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দু’টি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। আগামী রোববারের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে।

আরও পড়ুন : ১২ আগস্ট থেকে বেতারে প্রাথমিকের ক্লাস সম্প্রচার শুরু

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাপনী পরীক্ষা না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

তারা বলছেন, শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘ না করে বছরের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক লেখাপড়া শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে।

এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে।

এ বিষয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের বৈঠক বসেছে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্য ধরে কারিকুলাম ও সিলেবাস মূল্যায়নের কাজ করছে নেপ। এজন্য তাদের দু’টি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটিতে ১ সেপ্টেম্বর ক্লাস কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য ধরা হবে। আরেকটিতে ১ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা থাকবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হবে না। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখনই তারা স্কুলে যাবে। যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরি কাজ শুরু করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে বিশেষ করে সামনে কোনো মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। মতামতকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ নিয়ে এনসিটিবি কাজ করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া