করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন হাজার ৮৬১ জনে। এই সময়ে নতুন করে আরো দুই হাজার ৪০১ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জনে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের ৯১টি ল্যাবে গেল ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৫টি। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৩টি।
এ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯টি।
আরও পড়ুন : প্রতি ৪ জনে একজন করোনায় আক্রান্ত ভারতে!
একদিনে আরো সুস্থ্য হয়েছেন তিন হাজার ৬২৪ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন।
সরকারের দেয়া তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এছাড়াও দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মৃত তিন হাজার ৮৬১ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৪৬ জন, যা শতাংশের হিসাবে ৭৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং নারী ৮১৫ জন, যা শতাংশের হিসাবে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী রয়েছেন একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের ২৫ জন রয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছেন পাঁচজন, সিলেট বিভাগের চারজন, খুলনায় তিনজন, বরিশাল বিভাগে দুজন এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
এদের মধ্যে হাসাপাতালে মারা গেছেন ৩৬ জন এবং বাড়িতে থেকে মারা গেছেন তিনজন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে চীনে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে শুরু হয় ৮ মার্চ। এরপর পাঁচ মাস ১৪ দিন পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সংক্রমণ কিংবা মৃত্যুর সংখ্যায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না এলেও মানুষের জীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।