রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে ‘গোপন বৈঠক’ থেকে আ. লীগ সমর্থক ১৯ ইউপি সদস্য গ্রেফতার

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
কক্সবাজারে ‘গোপন বৈঠক’ থেকে আ. লীগ সমর্থক ১৯ ইউপি সদস্য গ্রেফতার

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের কলাতলীতে ইউনি রিসোর্ট নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যারা গোপন বৈঠক করছিল বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কক্সবাজার শহরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টের ৫ম তলার হল রুম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনর আলোচনা সভা চলছিল। এসময় পুলিশ ও অর্ধ-শতাধিক সমন্বয়ক তাদের হল রুম ঘেরাও করে। এরপর পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা এসে তল্লাশি ও যাচাই-বাছাই শুরু করে।
পুলিশ বলছে, আওয়ামীপন্থি ইউপি সদস্যরা গোপনে বৈঠক করছে এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ওই বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য ছিল। বাকিদে ছেড়ে দেওয়ার কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে, হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় হোটেলটির আশে-পাশের এলাকায়। হোটেল অবস্থান করা পর্যটকরা হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

আটক টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহির আহমেদ বলেন, জেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। আমরা ৭০ জনের মতো ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়ক ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আটক করে। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকত তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এত বড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম জানান, ‘আজ আমাদের মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিল। কিন্তু এভাবেই আমাদের ভাইদের আটক করা হয়েছে, সেটি তীব্র নিন্দা জানাই।

ইউনি রিসোর্টে ৫০৫ নম্বর কক্ষের পর্যটক মিরাজ বলেন, আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। কিছুক্ষণ পর কিছু ছাত্র পরিচয় দিয়ে হোটেলে ডুকে পড়েন। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদে অভিযানে যায় পুলিশ। বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য উপস্থিত থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম জানান, মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিল। কিন্তু আমাদের ভাইদের আটক করা হয়েছে।

পুলিশের অভিযানে অর্ধশতাধিক সমন্বয়ক পরিচয়ধারী লোকজন কেন এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া