সিঙ্গাপুর থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ড. বিজন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পূব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি তা শনাক্তে অ্যান্টিজেন্ট ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করেন। তবে তা এখনো অনুমোদন দেয়নি সরকার।
ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পাড়ি দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।
রবিবার ভোরে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
গত জুলাইয়ে তার ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হয় । তারপর ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে কাজ করতে না পেরে এক ধরনের বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়লেন ড. বিজন। ওয়ার্ক ভিসার অনুমতি পেলে তিনি আবার বাংলাদেশে কাজে ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন : জানুয়ারিতে বাজারে আসতে পারে দেশি ভ্যাকসিন!
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে ড. বিজন কুমার শীল রবিবার সিঙ্গাপুর ফিরে যাচ্ছেন। তবে গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিটের উন্নয়ন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণায় ড. বিজন কুমার শীলকে প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আরো বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তার ভিসা প্রাপ্তিতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আশা করছি শিগগিরই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। কারণ সব সময় দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনিও।
এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।