বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান চলে গেলেন। শনিবার সকালে পুরান ঢাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
এদিকে, বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর রাজধানীর পুরান ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে সূত্রাপুর জামে মসজিদে এই কিংবদন্তির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে তার মরদেহ রাখা হয়।
এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে।
এর আগে এটিএম শামসুজ্জামানের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নারিন্দার পীর সাহেব তার গোসলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এছাড়াও এফডিসি বা অন্য কোথাও লাশ যেন না নেয়া হয় জীবিত অবস্থায় বলে গিয়েছিলেন তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামানের ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। আজও তিনি দর্শকের কাছে নন্দিত। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরকাল নন্দিত হয়েই থাকবেন তিনি।
অভিনয়ের জন্য এটিএম শামসুজ্জামান পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদকও।