Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন মুক্তা

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল (২৪)।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তান প্রসব করেন পুতুল। এরআগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

পুতুল ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। প্রসূতি মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছে। তাদের নাম রাখা হয়েছে সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন অনেক কম। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। তবে কোনো শিশুই এখনো শঙ্কামুক্ত না।

তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব।

অপরদিকে শিশুদের মা মুক্তা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এই পরিচালক। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় সিদ্দিক-মুক্তা দম্পতির পরিবার ও স্বজনেরা সবাই খুশি। চার সন্তানের জননী মুক্তার মা মায়া বেগম বলেন, একটা বাচ্চা কিংবা একলগে দুইটা বাচ্চা হওয়ার কথা শুনছি। কিন্তু এখন তো চারটা সন্তান হইলো একলগে। ওগো লইগ্যা আর আমার মাইয়ার লইগ্যা দোআ করবেন যাতে ওরা ভালো ও সুস্থ থাকে।

তিনি জানান, ১০ বছর আগে মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে চার সন্তান ও স্ত্রীর খোঁজ নিতে বাহরাইন থেকে সিদ্দিকুর রহমান ফোন দিয়েছে জানিয়ে মুক্তার ভাই শান্ত বলেন, বর্তমানে আমার বোনকে হাসপাতালের ৫ তলার কেবিনে রয়েছেন আর বাচ্চাগুলো দোতলায় রয়েছে। উভয় জায়গাতে আমাদের স্বজনরা রয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন মুক্তা

প্রকাশের সময় : ০১:৫০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল (২৪)।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তান প্রসব করেন পুতুল। এরআগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

পুতুল ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। প্রসূতি মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছে। তাদের নাম রাখা হয়েছে সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন অনেক কম। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। তবে কোনো শিশুই এখনো শঙ্কামুক্ত না।

তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব।

অপরদিকে শিশুদের মা মুক্তা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এই পরিচালক। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় সিদ্দিক-মুক্তা দম্পতির পরিবার ও স্বজনেরা সবাই খুশি। চার সন্তানের জননী মুক্তার মা মায়া বেগম বলেন, একটা বাচ্চা কিংবা একলগে দুইটা বাচ্চা হওয়ার কথা শুনছি। কিন্তু এখন তো চারটা সন্তান হইলো একলগে। ওগো লইগ্যা আর আমার মাইয়ার লইগ্যা দোআ করবেন যাতে ওরা ভালো ও সুস্থ থাকে।

তিনি জানান, ১০ বছর আগে মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে চার সন্তান ও স্ত্রীর খোঁজ নিতে বাহরাইন থেকে সিদ্দিকুর রহমান ফোন দিয়েছে জানিয়ে মুক্তার ভাই শান্ত বলেন, বর্তমানে আমার বোনকে হাসপাতালের ৫ তলার কেবিনে রয়েছেন আর বাচ্চাগুলো দোতলায় রয়েছে। উভয় জায়গাতে আমাদের স্বজনরা রয়েছেন।