নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এমন কিছু করা উচিত হবে না যার ফলে দেশ ও জনগণ আবারো পিছিয়ে পড়ে। পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নীতি আদর্শ, রাজনৈতিক মত ও পথের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের ও জনগণের উন্নয়নের ব্যাপারে মত ভিন্নতা থাকতে পারে না।

রাষ্ট্রপ্রধান শিশুদেরকে আগামী দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দক্ষ, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমিক ও ‘স্মার্ট নাগরিক’ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার তাগিদ দেন।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। যেখানে সব ধরনের কাজ, সেবা, আর ব্যবস্থাপনা বিশ্বমানের ও স্মার্ট প্রযুক্তি নির্ভর। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সময়োপযোগী জ্ঞান আহরণ এবং সেটা হাতে কলমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সময়োপযোগী জ্ঞান আহরণ এবং হাতেকলমে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করার উপদেশ দিয়ে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তোমাদের এখন থেকেই শিখতে হবে হতে হবে অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

শিশু-কিশোরদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বাইরের অনেক কিছু নিয়ে লেখাপড়া করে নিজ নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার ওপর জোর দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সব সময় মনে রাখবে, দেশটাও তোমার পরিবারের মতো। আর পরিবারে সবাই যেমন অবদান রাখে, তোমরাও সেভাবে অবদান রাখবে। এজন্য নিজে দেশকে জানতে হবে, পড়তে হবে অনেক কিছু।

আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই আয়োজন শিশুদের সবাইকে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন বন্ধু তৈরিসহ আরও অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘খেলাধুলার জন্য এখন তোমাদের সুযোগ কম হলেও যতটা পারা যায় খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করবে।’ এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেশ দেন, সব সময় মনে রাখবে, দেশটাও তোমার পরিবারের মতো। আর পরিবারে সবাই যেমন অবদান রাখে, তোমরাও সেভাবে অবদান রাখবে। এজন্য নিজে দেশকে জানতে হবে, পড়তে হবে অনেক কিছু।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সাফল্যের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালে মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে’-এর উপর নির্মিত একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং শিশু-সুমাইয়া আক্তার রুমি এবং মো. রেজওয়ান মাহবুব নেহাল-‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ উপস্থিত ছিলেন।