নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোরবানি ঈদে আগেই তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মে মাসের পূর্ণাঙ্গ বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর বিজয় নগর শ্রমভবন সম্মেলন কক্ষে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের ঈদের ছুটি যেন দীর্ঘ ও স্বস্তিদায়ক হয়, এ বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঈদের পূর্বে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই বা কারখানাগুলো লে-অফ করতে পারবে না।
এসময় তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নানা সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরেন নেতারা। পরে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, আসছে কোরবানি ঈদের আগেই মে মাসের পূর্ণাঙ্গ বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রমিক নিরসন সম্ভব হয়েছে। রেশনিং ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটির বিষয়ে তিনি জানান, ১৩ জুন থেকে শিল্প-কারখানা ছুটি হবে। তবে তৈরি পোশাকশিল্পের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ছুটির বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। এবারো তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ছুটি বেশি হবে।
শ্রমিকদের কম দামে পণ্য দেওয়ার ব্যাখ্যায় সভায় অংশ নেওয়া আরএমজি সেক্টর সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সদস্য কামরুল হাসান জানান, তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের আবেদনের ভিত্তিতে তালিকা করা হবে। এ তালিকায় যাদের নাম থাকবে সেই সব শ্রমিককে কম দামে নিত্য পণ্য দেওয়া হবে।
সভায় অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান, বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. নূর কুতুব আলম মান্নান, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশেনের সভাপতি নাজমা আক্তার এবং বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনিসহ মালিক ও শ্রমিকপক্ষের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।