মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপির আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাতের ঘটনায় ১১ জন পর্বতারোহী মৃত্যু হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন এখনও ১২ জন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা দ্বীপের ২ হাজার ৮৯১ মিটার চূড়ায় মাউন্ট মারাপি থেকে আকাশে ছাই উদগিরণ শুরুর মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, এখনও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ৪৯ জন পর্বতারোহীকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেকেই দগ্ধ হয়েছিলেন। পাদাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আব্দুল মালিক বলেছেন, ‘উদ্ধার করা তিনজনকে আগ্নেয়গিরির গর্তের কাছে পাওয়া গেছে। তারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’

অগ্ন্যুৎপাতের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের বিশাল মেঘ আকাশ জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আশেপাশের অঞ্চল,যানবাহন এবং রাস্তাগুলো ছাই দিয়ে ঢেকে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা পালাক্রমে মৃত এবং আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সির প্রধান রুডি রিনাল্ডি বলেন, ‘চারপাশ অত্যন্ত উত্তপ্ত হওয়ায় কারণে কয়েকজন পুড়ে গেছে এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জোডি হরিয়াওয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়াখুব বিপজ্জনক।

মাউন্ট মারাপি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমতম সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ তথাকথিত প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত। যেখানে মহাদেশীয় প্লেটের সংযোগস্থল এবং এর কারণে আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।

মারাপি হলো সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি। ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে সবচেয়ে মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল মারাপিতে। সেই সময় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১৩০টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া