মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

আর্মেনিয়াকে ‘শাস্তি’র হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

করোনা সংকটের মধ্যেই ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতের পর এবার মধ্য এশিয়ার দুই দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে আর্মেনিয়ার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে সামরিক লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, আজারবাইজানের বিরুদ্ধে হামলার জেরে প্রতিবেশী আর্মেনিয়াকে ‘শাস্তি’র হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক।

সংঘাতে দুই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, দু’ দেশই ট্যাংক ও কামান ব্যবহার করে। এতে আজারবাইজানের মেজর জেনারেল-সহ ১৬ এবং আর্মেনিয়ার ৪ সেন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। দু’দেশেরই দাবি, সীমান্তে গোলাবর্ষণের জেরে সাধারণ মানুষও মারা গিয়েছে। এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, ‘আর্মেনিয়া বাড়াবাড়ি করলে, পড়শি দেশের মেটসামোর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে।’ প্রসঙ্গত, আজারবাইজানের আশঙ্কা, তাদের মিনগেচভিক জলাধারে আঘাত হানতে পারে আর্মেনিয়া।

এ ঘটনায়, মঙ্গলবার রাতে করোনা সংক্রমণের তোয়াক্কা না করে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু’র রাস্তায় আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শত শত মানুষ। তবে, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী তুরস্ককে পাশে পেয়েছে আজারবাইজান। তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, আজারবাইজানকে রক্ষায় পিছপা হবে না আঙ্কারা। এদিকে, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার লড়াইয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। দুই দেশকেই শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মালনে দুই দেশকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতও।

প্রসঙ্গত, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বহু পুরনো। দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত নাগোরনো-কারাবাখ এলাকা নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকেই এলাকাটি আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসীই আর্মেনিয়ান। ১৯৮৮ সালে নাগোরনো-কারাবাখের স্বশাসিত সরকারকে উৎখাত করেছিল আজারবাইজান। তারপর থেকেই সেখানকার আর্মেনিয়ানরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২ সালে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলেও নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে নেয় আর্মেনিয়া। এরপর ২০১৬-তে ফের যুদ্ধ হয় দু’দেশের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ থামে। চার বছর পর আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: