নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার রাজনৈতিক চাপে রয়েছে বলে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যুদ্ধের অদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক চাপের শিকার। স্যাংশন হচ্ছে, অনিশ্চয়তা আছে। তবে আমরা বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শনিবার (৩ জুন) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে (এমসিসিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে ভর্তুকি থেকে সরে আসার একটি ঘোষণা ছিল। সামনে এটা হবে। তবে কৃষি, খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় কিছু খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক চাপের শিকার। তবে আমরা বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।
এম এ মান্নান বলেন, রাজস্ব আদায়ে এজেন্ট ব্যবহার করা হলে তা পরীক্ষামূলক বিভাগীয় শহরে করার কথা বলেন তিনি। এবারের বাজেটে ভর্তুকি থেকে সরে আসার একটি ঘোষণা ছিল। সামনে এটা হবে। তবে কৃষি, খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় কিছু খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। ভ্যাট আইন অবশ্যই আলোচনার ভিত্তিতে করা উচিত। বাজার ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখলে মূল্যস্ফীতি এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তবে সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে কোভিড এবং যুদ্ধের চেয়েও খারাপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এমসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আডিব এইচ খান বলেন, আয়কর আইনে আরও সময় নিয়ে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। এটা জুনের ৪ তারিখ সংসদে উত্থাপনের কথা রয়েছে। আর বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে করারোপ করায় এটা ঋণগ্রহীতার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, এবারের বাজেট নির্বাচনী বাজেট বলে মনে হচ্ছে না। তবে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
আইএএফ’র শর্তমতে বাণিজ্য কর না দিয়ে রাজস্ব বাড়ানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।