নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা কোনো দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষে না। তবে যারা জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সাথে আলোচনায় এসব তিনি কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্যই প্রস্তাবিত হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্য নয়, বরং তাদের ক্ষমতা আরও সুসংহত করার প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা নয়, বরং নির্বাচনকে দুর্নীতিমুক্ত করা।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৪০ ভাগের কম ভোট পেলে সেই আসনে ভোট বাতিল, এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, এ ছাড়া গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না বলেও সুপারিশ করা হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনি অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে বিগত তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের বিচারে কমিশন গঠন করা হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাদের বিচার করা প্রয়োজন।
ফেরারি আসামি, বিচারিক আদালতে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বদিউল আলম বলেন, যারা হত্যাকাণ্ড, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত, তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, এই সুপারিশ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে, এবং জনগণ চান না, যারা এসব অপরাধ করেছে, তারা আবার দেশ শাসন করুক।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা কারচুপিতে সহায়তা করেছে তাদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করতে হবে।