নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দলটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। নড়াইলের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবই করবো। আপনাদের ভোটেই এমপি হতে চাই। আমাকে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দিন। আমার লক্ষ্য একটাই নড়াইলবাসীর উন্নয়ন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুুর গ্রামে নির্বাচনি পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গতবারও আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, আমি কোথাও গ্যাপ রাখিনি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এবারও ইনশাআল্লাহ সেই চেষ্টাই থাকবে, যদি আপনারা আমাকে চান।
জনপ্রতিনিধি হয়ে গত পাঁচ বছর আপনাদের সেবা করেছি উল্লেখ করে মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘হয়তো যে পরিমাণ কাজ করার কথা ছিল করতে পারিনি। করোনার কারণে দুই বছর কাজের সুযোগ পাইনি। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা যদি আমাকে আবারও নির্বাচিত করেন, গত পাঁচ বছরের চেয়ে উন্নয়নকাজের পরিধি বাড়বে। আরও বেশি উন্নয়নকাজ করার চেষ্টা করবো।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি আপনারা কষ্ট করে হলেও ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আমি আপনাদের ভোট চাই। আপনাদের প্রত্যেকের ভোটটা খুবই জরুরি। আপনারা কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোটটা দেবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ দেবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর আমার যা করণীয় আমি সুযোগ পেলেই সে কাজগুলো শেষ করব।
মাশরাফি বলেন, ভোট না দিলেও আমি নির্বাচিত হয়ে যাব এই ভেবে আপনারা ঘরে বসে থাকবেনা। আপনারা কেন্দ্রে যাবেন আপনার মুল্যবান ভোটটি দিবেন। আপনারা কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, আপনাদের ভোটে আমি সংসদ সদস্য হতে চাই। আর আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি সংসদ সদস্য হতে পারলে আমার যা করণীয় আমি সুযোগ পেলে তা করবো।
তিনি বলেন, আমি এমপি হতে পারি আর না পারি আপনাদের পাশে সব সময় থাকবো। যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়েছে আমি সেগুলো করে দেব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাকে যখনই ডেকেছেন আমি তখনই আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি, ভবিষ্যতে আবারও যখন ডাকবেন আমি আপনাদের মাঝে চলে আসবো।
গণসংযোগ ও নির্বাচনি পথসভায় মাশরাফির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল হান্নান রুনু, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি একেএম ফয়জুল হক রোম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, নলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।